বুধবার, ২ জুন, ২০১০

রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার খোঁজখবর

পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নাম রুশ ফেডারেশন। দেশটিতে শিক্ষার হার ৯৯.৫ শতাংশ। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের। স্কলারশিপ ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা আছে।
সেমিস্টার ও ডিগ্রিসমূহ :
রাশিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি এবং ফেরুয়ারি-জুন এই দুই সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারেন। এখানে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়।
ভাষা :
রাশিয়ায় রাশিয়ান ভাষায় পড়াশোনা হয়। তাই পড়াশোনা করতে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে।
যেসব বিষয়ে পড়া যায় : একাউন্টিং, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আর্টস, বায়োলজি, সেন্টার ফর দ্য সোশিওলজি, কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, কালচারাল এনথ্রোপলজি, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকনোমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, মিজারিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, ইনস্টিটিউট অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ, মিউজিক আর্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, জার্নালিজম এন্ড সোশিওলজি, রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, থিয়েটার প্রভৃতি।
খরচ :
রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে বছরে একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৮০০০ মার্কিন ডলার এবং মার্স্টাস ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৯০০০ মার্কিন ডলার টিউশন ফি দিতে হয়। এখানে থাকার জন্য মাসে ৩৫-১০৪, খাওয়ায় ১৫০-২০০, যাতায়াতে ৫-১০, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্সে ৬-১১ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
কাজের সুযোগ :
ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে এখানে শিক্ষার্র্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। তবে প্রবাসী শিক্ষার্থীরা কেবল গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন। রাশিয়ায় হোটেল বয়, ওয়েটার বা কুকস হেলপারস, ফাস্টফুড স্টল, বেবিসিস্টার প্রভৃতি কাজ করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৩ মার্কিন ডলার আয় করা যায়।
আবেদন করার নিয়ম : যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব ডকুমেন্টসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক দায়-দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। কাগজপত্রসহ যথাযথ আবেদন করার পর ভিসা পেতে প্রায় ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন