প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রী বাইরে থেকে আসে। সরকারি হিসাবমতে, ২০০৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে। তবে যোগ্যতা থাকলেও উপযুক্ত তথ্যের অভাবে অনেকে ইচ্ছা সত্ত্বেও আসতে পারে না। অনেক সময় দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংস্থা বা মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক ছাত্রছাত্রী আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়। এ ক্ষেত্রে শুধু অর্থ নয়, তারা নিজেদের জীবনের মূল্যবান সময়ও হারিয়ে ফেলে। এ জন্য দরকার উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য।
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইটগুলোতে। কারণ সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখাবিষয়ক বিভিন্ন পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজনগুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়। এ ছাড়া ‘আইডিপি অস্ট্রেলিয়া’ (International Development Program-Australia) আন্তর্জাতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একমাত্র সমন্বিত প্রতিনিধি। বাংলাদেশে এর অফিস ঢাকার গুলশান ২ নম্বর গোলচক্কর থেকে অল্প দূরে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে। ফোনঃ ৯৮৮৩৫৪৫, ই-মেইলঃ
info.dhaka@idp.com
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংস্থার ‘স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া’ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখাবিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম, বিভিন্ন বিষয়, পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার খরচ, বৃত্তি, ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া, থাকা-খাওয়ার সুবিধা ও অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতিটি অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় বা অন্য যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এ জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে হয়। অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসার ছয়টি মূল ধাপ আছে। এগুলো হলো পড়ার পরিকল্পনা, বিষয় নির্বাচন, ভর্তির আবেদন, ভিসার আবেদন, দেশত্যাগের আগে করণীয় এবং অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছার পর করণীয়।
১. পড়ার পরিকল্পনাঃ
সর্বপ্রথম একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে দেখতে হবে, তার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কোন ধরনের কোর্স বা বিষয়ে সে আগ্রহী। সে কোন বিষয়ে পড়ালেখা করতে চায়, তার বর্তমান যোগ্যতা কতটুকু, সে যে বিষয়ে আগ্রহী তা শেষ করতে কত সময় লাগবে এবং সর্বোপরি, সে কোথায় এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী তাও ঠিক করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়াতে চার ধরনের পড়ালেখার জন্য একজন শিক্ষার্থী আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি, কারিগরি ডিগ্রি, স্কুল-কলেজ এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা। এর পর প্রতিটি আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীকে পড়াকালীন খরচের কথা আগেভাগে চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা করতে হয়। টিউশন ফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিষয়ভেদে বিভিন্ন হয়। থাকা-খাওয়ার খরচও অস্ট্রেলিয়ায় জায়গাভেদে বিভিন্ন। মনে রাখা প্রয়োজন, ভিসার আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় খরচের সামর্থø দেখাতে ব্যর্থ হলে সাধারণত ভিসার আবেদন গ্রাহ্য হয় না। এখানে স্নাতকপূর্ব কোর্সের আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের বেশির ভাগ পূর্ণ খরচ দিয়ে পড়ালেখা করে। কারণ স্নাতকপূর্ব কোর্সে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির সংখ্যা খুবই সীমিত এবং তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থাও নেই। অনুরূপভাবে ডিপ্লোমা ও অন্য কোর্সগুলোতে বৃত্তি নেই বললেই চলে। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণাভিত্তিক কোর্সে বেশ কিছু বৃত্তি আছে, যেমন IPRS, AusAid, গ্র্যাজুয়েট বৃত্তি ইত্যাদি।
২. বিষয় নির্বাচনঃ
অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের যেসব বিষয়ে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দেয, সেগুলো থেকে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে নিজের পড়ার পরিকল্পনা অনুসারে একটিকে বেছে নিতে হয়। সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিষয় বাছাই করার পর এই বিষয়টি যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ আছে, সেগুলোর তালিকা পাওয়া যায়। এখান থেকে এক বা একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা যেতে পারে। এর পর দেখতে হবে, এসব বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পড়ার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীর কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, খরচ কেমন হবে ইত্যাদি। যোগ্যতার পরিমাপ প্রতিষ্ঠানটির মান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।অনেক বিষয়ে (যেমন এমবিএ) ভর্তির জন্য কাজের অভিজ্ঞতা একটি পূর্বশর্ত হতে পারে। এ ছাড়া ভর্তিচ্ছু একজন ছাত্র বা ছাত্রীর আগের একাডেমিক রেকর্ড ও ইংরেজি দক্ষতা (যেমন IELTS) অস্ট্রেলিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নূøনতম চাহিদার কম হলে সাধারণত ভর্তি, বৃত্তি বা ভিসা কোনোটির আবেদনই বিবেচনা করা হয় না। উল্লেখ্য, বৃত্তির জন্য আবেদন করলে ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা (IELTS স্কোর) ভর্তির আবেদনপত্রের সাথে পাঠাতে হয়।
৩. ভর্তির আবেদনঃ
একজন ছাত্র বা ছাত্রী একাধিক বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় যোগাযোগ করলে তারা সাধারণ ‘অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ’ পোস্ট করে পাঠিয়ে দেয়। পূরণকৃত আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীকে আগের একাডেমিক রেকর্ডের পূর্ণ বিবরণ (মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট) ও সনদ, ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা (যেমন IELTS স্কোর) ও অভিজ্ঞতার সনদ সংযুক্ত করতে হয়। এর পর আবেদনকারী তার আবেনদপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট যেমন আইডিপি অস্ট্রেলিয়ার (Internationlal Development Program-Australia) মাধ্যমে বা সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় পোস্ট করে পাঠাতে পারে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র পাওয়ার পর আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলাফল জানায়।
৪. ভিসার আবেদনঃ
একজন আবেদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার পেলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ভিসা আবেদন ফিসহ জমা দিতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদনের আগে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি পরিশোধ এবং অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনুমোদিত যেকোনো কোম্পানির সাথে ১ বছরের মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তির নিশ্চয়তা সনদ (ECOE-Electronic Conformation of Enrolment) ইস্যু করে, যা ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। এ ছাড়া আবেদনকারীকে পড়ালেখার সময় খরচের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা ব্যাংকে আছে কি না, এর ব্যাংক হিসাব ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। উল্লেখ্য, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনীয় খরচের জোগান তাদের বৃত্তি থেকে দেখাতে পারে। প্রাপ্ত বৃত্তি কোন খাতে (টিউশন ফি, মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স, থাকা, খাওয়া) এবং বছরে কত দেবে তা স্পষ্টভাবে অফার লেটারে উল্লেখ থাকে। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসার সব যোগ্যতা পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর জন্য প্রি-ভিসা ((Pre-visa) ইস্যু করে। এ সময় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে একজন অনুমোদিত ডাক্তারের কাছে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয়। এর পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করে। উল্লেখ্য, প্রাপ্ত স্টুডেন্ট ভিসায় পার্টটাইম কাজের অনুমতি না থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে এজন্য আবেদন করলে সাধারণত অনুমতি পাওয়া যায়।
৫. দেশত্যাগের আগে করণীয়ঃ
ভিসা পাওয়ার পর তারিখ ঠিক করে বিমানের টিকিট কিনতে হয়। সাধারণত কোর্স শুরু হওয়ার ১-২ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসে পৌঁছলে চলে। দেশত্যাগ করে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে আরো কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়। যেমন অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার উপযুক্ত পোশাক জোগাড় এবং প্রাথমিকভাবে থাকা-খাওয়ার জন্য অন্য কারো সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (যেমন মোনাশ, মেলবোর্ন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে) আন্তর্জাতিক অফিস ছাড়াও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বা মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে কোনো সাহায্যকারী বন্ধু পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানকে আগেই জানাতে হয়। ৬. পৌঁছার পর করণীয়ঃ
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে কাগজে-কলমে ভর্তির শেষ ফরমালিটি সম্পন্ন করতে হয়। অনেক সময় কোর্স শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে, যেখানে কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নতুন ছাত্রছাত্রীদের এরকম প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো না হলে প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ওয়েবসাইট তথ্যসূত্রঃ
1.http://www.goingtouni.gov.au/
2. http://www.studyinaustralia.gov.au/
3. http://www.immi.gov.au/students/index.htm
4. http://www.idp.com/bangladesh
বুধবার, ২ জুন, ২০১০
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার খোঁজখবর
পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নাম রুশ ফেডারেশন। দেশটিতে শিক্ষার হার ৯৯.৫ শতাংশ। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের। স্কলারশিপ ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা আছে।
সেমিস্টার ও ডিগ্রিসমূহ :
রাশিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি এবং ফেরুয়ারি-জুন এই দুই সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারেন। এখানে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়।
ভাষা :
রাশিয়ায় রাশিয়ান ভাষায় পড়াশোনা হয়। তাই পড়াশোনা করতে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে।
যেসব বিষয়ে পড়া যায় : একাউন্টিং, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আর্টস, বায়োলজি, সেন্টার ফর দ্য সোশিওলজি, কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, কালচারাল এনথ্রোপলজি, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকনোমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, মিজারিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, ইনস্টিটিউট অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ, মিউজিক আর্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, জার্নালিজম এন্ড সোশিওলজি, রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, থিয়েটার প্রভৃতি।
খরচ :
রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে বছরে একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৮০০০ মার্কিন ডলার এবং মার্স্টাস ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৯০০০ মার্কিন ডলার টিউশন ফি দিতে হয়। এখানে থাকার জন্য মাসে ৩৫-১০৪, খাওয়ায় ১৫০-২০০, যাতায়াতে ৫-১০, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্সে ৬-১১ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
কাজের সুযোগ :
ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে এখানে শিক্ষার্র্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। তবে প্রবাসী শিক্ষার্থীরা কেবল গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন। রাশিয়ায় হোটেল বয়, ওয়েটার বা কুকস হেলপারস, ফাস্টফুড স্টল, বেবিসিস্টার প্রভৃতি কাজ করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৩ মার্কিন ডলার আয় করা যায়।
আবেদন করার নিয়ম : যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব ডকুমেন্টসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক দায়-দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। কাগজপত্রসহ যথাযথ আবেদন করার পর ভিসা পেতে প্রায় ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগে।
সেমিস্টার ও ডিগ্রিসমূহ :
রাশিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি এবং ফেরুয়ারি-জুন এই দুই সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারেন। এখানে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়।
ভাষা :
রাশিয়ায় রাশিয়ান ভাষায় পড়াশোনা হয়। তাই পড়াশোনা করতে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে।
যেসব বিষয়ে পড়া যায় : একাউন্টিং, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আর্টস, বায়োলজি, সেন্টার ফর দ্য সোশিওলজি, কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, কালচারাল এনথ্রোপলজি, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকনোমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, মিজারিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, ইনস্টিটিউট অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ, মিউজিক আর্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, জার্নালিজম এন্ড সোশিওলজি, রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, থিয়েটার প্রভৃতি।
খরচ :
রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে বছরে একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৮০০০ মার্কিন ডলার এবং মার্স্টাস ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৯০০০ মার্কিন ডলার টিউশন ফি দিতে হয়। এখানে থাকার জন্য মাসে ৩৫-১০৪, খাওয়ায় ১৫০-২০০, যাতায়াতে ৫-১০, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্সে ৬-১১ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
কাজের সুযোগ :
ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে এখানে শিক্ষার্র্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। তবে প্রবাসী শিক্ষার্থীরা কেবল গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন। রাশিয়ায় হোটেল বয়, ওয়েটার বা কুকস হেলপারস, ফাস্টফুড স্টল, বেবিসিস্টার প্রভৃতি কাজ করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৩ মার্কিন ডলার আয় করা যায়।
আবেদন করার নিয়ম : যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব ডকুমেন্টসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক দায়-দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। কাগজপত্রসহ যথাযথ আবেদন করার পর ভিসা পেতে প্রায় ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগে।
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো টিউশন ফি নেই। এ কারণে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীই ইউরোপের এ দেশটিতে পড়তে যেতে আগ্রহী। জার্মানিতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ এইচএসসি কিংবা এ লেভেল পাস হতে হয়।
ভর্তি ও ভিসা আবেদন
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠায়। অফার লেটার পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে।ঠিকানা : ১৭৮ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২, ঢাকা। ফোন : ০২-৮৮৫৩৫২১।
শিখে নিন জার্মান ভাষা
জার্মানির অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই জার্মান ভাষায় পড়ানো হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য নূ্যনতম আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.৫০। জার্মান ভাষা শিখে গেলে পড়াশোনা অনেক সহজ হবে। ঢাকার জার্মান কালচারাল সেন্টারে আছে জার্মান ভাষা শেখার সুযোগ। ঠিকানা: বাড়ি-১০, রোড-৯ (নতুন), ধানমণ্ডি, ঢাকা। ফোন : ০২-৯১২৬৫২৫। অনলাইনে তথ্য জানতে পারবেন এই লিংকে www.goethe.de/ins/bd/dha/enindex.htm.
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন
ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ও চাহিদাসম্পন্ন প্রায় সব বিষয়েই পড়তে পারবেন জার্মানিতে। এখানকার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, বিভিন্ন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ, এমবিএ, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড ই-কমার্স, এগ্রিকালচার ছাড়াও রয়েছে অনেক বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ।
ভর্তি সুযোগ বছরে দুবার
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যায় বছরে দুবার। গ্রীষ্ম ও শীতকালীন সেশনে। সেশন দুটি শুরু হয় যথাক্রমে এপ্রিল ও অক্টোবরে। সেশন শুরুর অন্তত তিন মাস আগ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ও আবেদনের যোগ্যতাসহ দরকারি তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখলে পরবর্তী সময়ে বেগ পেতে হবে না।
কেমন খরচ হবে
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। তবে পাবলিক হেলথ ফি বাধ্যতামূলক হওয়ায় বছরে ৬৫০ ইউরোর মতো খরচ হয়। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বাবদ প্রতি সেমিস্টারে গুনতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো। প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়ে অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন। উল্লেখ্য, এক ইউরো প্রায় ৯০ টাকার সমান।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ
ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের নিয়ম থাকলেও গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ফুলটাইম কাজ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। জার্মান ভাষা জানা থাকলে রেস্টুরেন্ট, দোকান বা শপিং মলে কাজ করে ভালো আয় করা যায়।
আছে বৃত্তির সুযোগ
জার্মান সরকার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও বৃত্তি মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেয়। জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের ওয়েবসাইট (www.daad.de) থেকেই জানতে পারবেন বৃত্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানা
www.en.uni-muenchen.dewww3.uni-bonn.de,
portal.mytum.dewww.uni-freiburg.de
www.uni-heidelberg.dewww.uni-goettingen.de
www.study-in-germany.de
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন .
জার্মানিতে পড়াশোনার চার ধাপ
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
যোগ্যতা, পছন্দ, আর্থিক সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানা যাবে।
কাগজপত্র প্রস্তুত ও আবেদন
একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, আইইএলটিএস স্কোর সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি, মেডিক্যাল রিপোর্ট, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র ও পাসপোর্ট আকারের ছবি প্রস্তুত রাখুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদনপত্র পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠাবে।
ভিসা আবেদন
অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে। ভিসা আবেদনের দিকনির্দেশনা ও ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন জার্মান দূতাবাসে অথবা ভিজিট করুন অফিসিয়াল এই সাইটে www.dhaka.diplo.de।
জার্মান পেঁৗছার পর
স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকে তিন মাস। জার্মানিতে পেঁৗছানোর পর প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মেয়াদ ফুরানোর আগেই নবায়ন করে নিতে হবে।
ভর্তি ও ভিসা আবেদন
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠায়। অফার লেটার পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে।ঠিকানা : ১৭৮ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২, ঢাকা। ফোন : ০২-৮৮৫৩৫২১।
শিখে নিন জার্মান ভাষা
জার্মানির অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই জার্মান ভাষায় পড়ানো হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য নূ্যনতম আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.৫০। জার্মান ভাষা শিখে গেলে পড়াশোনা অনেক সহজ হবে। ঢাকার জার্মান কালচারাল সেন্টারে আছে জার্মান ভাষা শেখার সুযোগ। ঠিকানা: বাড়ি-১০, রোড-৯ (নতুন), ধানমণ্ডি, ঢাকা। ফোন : ০২-৯১২৬৫২৫। অনলাইনে তথ্য জানতে পারবেন এই লিংকে www.goethe.de/ins/bd/dha/enindex.htm.
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন
ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ও চাহিদাসম্পন্ন প্রায় সব বিষয়েই পড়তে পারবেন জার্মানিতে। এখানকার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, বিভিন্ন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ, এমবিএ, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড ই-কমার্স, এগ্রিকালচার ছাড়াও রয়েছে অনেক বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ।
ভর্তি সুযোগ বছরে দুবার
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যায় বছরে দুবার। গ্রীষ্ম ও শীতকালীন সেশনে। সেশন দুটি শুরু হয় যথাক্রমে এপ্রিল ও অক্টোবরে। সেশন শুরুর অন্তত তিন মাস আগ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ও আবেদনের যোগ্যতাসহ দরকারি তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখলে পরবর্তী সময়ে বেগ পেতে হবে না।
কেমন খরচ হবে
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। তবে পাবলিক হেলথ ফি বাধ্যতামূলক হওয়ায় বছরে ৬৫০ ইউরোর মতো খরচ হয়। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বাবদ প্রতি সেমিস্টারে গুনতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো। প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়ে অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন। উল্লেখ্য, এক ইউরো প্রায় ৯০ টাকার সমান।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ
ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের নিয়ম থাকলেও গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ফুলটাইম কাজ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। জার্মান ভাষা জানা থাকলে রেস্টুরেন্ট, দোকান বা শপিং মলে কাজ করে ভালো আয় করা যায়।
আছে বৃত্তির সুযোগ
জার্মান সরকার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও বৃত্তি মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেয়। জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের ওয়েবসাইট (www.daad.de) থেকেই জানতে পারবেন বৃত্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানা
www.en.uni-muenchen.dewww3.uni-bonn.de,
portal.mytum.dewww.uni-freiburg.de
www.uni-heidelberg.dewww.uni-goettingen.de
www.study-in-germany.de
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন .
জার্মানিতে পড়াশোনার চার ধাপ
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
যোগ্যতা, পছন্দ, আর্থিক সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানা যাবে।
কাগজপত্র প্রস্তুত ও আবেদন
একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, আইইএলটিএস স্কোর সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি, মেডিক্যাল রিপোর্ট, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র ও পাসপোর্ট আকারের ছবি প্রস্তুত রাখুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদনপত্র পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠাবে।
ভিসা আবেদন
অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে। ভিসা আবেদনের দিকনির্দেশনা ও ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন জার্মান দূতাবাসে অথবা ভিজিট করুন অফিসিয়াল এই সাইটে www.dhaka.diplo.de।
জার্মান পেঁৗছার পর
স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকে তিন মাস। জার্মানিতে পেঁৗছানোর পর প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মেয়াদ ফুরানোর আগেই নবায়ন করে নিতে হবে।
রবিবার, ১৬ মে, ২০১০
কিভাবে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা?

আমাদের মধ্যে অনেকেই ডিপ্রেশান-জনিত রোগে ভুগলেও বিষয়টিকে তেমন পাত্তা না দেয়ায় রোগটি চিকিৎসাবিহীনই থেকে যায়। অথচ ডিপ্রেশান থেকে আস্তে আস্তে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যথাসময়ে ডিপ্রেশান প্রতিরোধের উদ্যোগ না নিলে রোগী ডিপ্রেশানের কারণে আত্মহত্যা বা মারাত্নক মারাত্মক কিছু করে বসা অস্বাভাবিক নয়। বহির্বিশ্বে ডিপ্রেশান-জনিত প্রচুর থেরাপী সহজলভ্য হলেও আমাদের দেশে এখনো এ সমস্যাটিকে এক ধরনের ‘বিলাসিতা-র চোখে দেখা হয়। যার কারনে ডিপ্রেশানজনিত চিকিৎসা তেমন সহজলভ্য নয়। তবে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারেন আপনি কি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা। নিচের দশটি পয়েন্টে ‘হ্যাঁ অথবা ‘না চিহ্নিত করুনঃ
১- প্রায় সময় মন খারাপ থাকে অথবা হতাশায় ভুগছেন
২- দৈনিক সাধারণ কাজকর্মে মনযোগ মনোযোগ দিতে পারছেন না
৩- কোনো কাজেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না
৪- ইদানিং আপনার শরীরের ওজন বেশ কমেছে অথবা খুব বেড়েছে
৫- কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা, অথবা পেটে ক্ষুধা না থাকলেও সবসময় খেতে ইচ্ছে করে
৬- ঘুম অনিয়মিত এবং প্রায় সময় বিঘ্ন ঘটছে
৭- অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন, সবকিছুতে আলসেমি লাগছে
৮- মনে হচ্ছে আপনি প্রচন্ড রকম ব্যস্ত, কোনো অবসরই পাচ্ছেন না
৯- নিজেকে তুচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। অথবা খুব তুচ্ছ কারণে, এমনকি বিনা কারণে অপরাধবোধে ভুগছেন ১০- প্রায় সময় মরে যাওয়ার কথা ভাবছেন আপনার স্কোরবোর্ডে পাঁচের অধিক ‘হ্যাঁ হলে আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন। স্কোর পাঁচের উপরে যত বেশী ‘হ্যাঁ’ হবে আপনার ডিপ্রেশানের মাত্রা তত বেশি এবং তত দ্রুত আপনার এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেহেতু আমাদের দেশে এখনো ডিপ্রেশানজনিত সহজলভ্য চিকিৎসাব্যবস্থা নেই, তাই প্রথমে নিজেই নিজের সাথে আলোচনা করুন। বেশ কিছু সময় হাতে নিয়ে কাগজ কলম নিয়ে বসুন। কী কী সম্ভাব্য কারণে আপনি হতাশায় ভুগছেন খুঁজে বের করুন এবং লিখে ফেলুন। নিজে বের করতে না পারলে খুব কাছের বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সহযোগিতা নিন। তার সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন এবং তাকে আপনার পরিস্থিতি থেকে সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করতে বলুন। একবার কারণগুলো নির্ণয় করা সম্পন্ন হয়ে গেলে ধাপে ধাপে লিস্ট করুন কিভাবে উক্ত কারণগুলোকে দূর করা যায়। দেখবেন, আপনার হতাশা অনেকটুকুই কমে গিয়েছে!
এইডস প্রতিরোধ করবে কলা! :-)

আপনার পছন্দের ফল যদি কলা হয়ে থাকে তাহলে তাকে স্বাস্থ্যের জন্য আরো উপকারী হিসেবে যাচাই করতে হবে এখন থেকে। গত সপ্তাহে Journal of Biological Chemistry তে প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়, কলার মধ্যে এমন প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা বর্তমানে ব্যবহৃত কৃত্রিম উপায়ে তৈরী anti-HIV দুইটি ওষুধের মত কার্যকর। গবেষকদের মতে, এর ফলে যৌন সংক্রমিত এইডস প্রতিরোধে আরো সস্তা ও প্রাকৃতিক উপাদানের সন্ধান পাওয়া গেল।
University of Michigan Medical School এর এই গবেষেণার প্রাপ্ত তথ্য মতে কলা থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের লেক্টিন, BanLec হলো সেই উপাদান যা ভাইরাস জীবানু ধ্বংস করে HIV-1 সঙ্ক্রমণ প্রতিরোধ করবে। এই আশ্চর্য উপাদান BanLec একটি সুগার আবদ্ধকারী প্রোটিন, যা বিভিন্ন উদ্ভিদে পাওয়া যায়। গবেষকরা অনেকদিন ধরেই লেক্টিন নিয়ে কাজ করছিলেন কারণ, লেক্টিন ভাইরাসের সুগারের সাথে আবদ্ধ হয়ে তার বিভিন্ন চেইন রিয়েকশন বন্ধ করে। BanLec ভাইরাল এনভেলপের সুগারের সাথে যুক্ত হয়ে HIV ভাইরাসকে আবদ্ধ করে ফেলে। এর মাধ্যমেই তাকে শরীরে অনুপ্রবেশে বাধা প্রদান করে।
প্রধান লেখক মাইকেল ডি সোয়ান্সন বলেন "HIV এর অন্যান্য ওষুধে সমস্যা হল ভাইরাস তার মিউটেশন ঘটিয়ে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু লেক্টিনের বিরুদ্ধে এই কাজটি করা সম্ভব নয়। কারন লেক্টিন, HIV ভাইরাল এনভেলপের চতূর্দিকে বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়, যার ফলে তা ভাইরাসের পক্ষে এতগুলো মিউটেশন করা সম্ভব নয়।"
সোয়ান্সন ও তাঁর সহযোগীরা আরো বলেন BanLec কে যদি ভ্যাজাইনাল বা এনাল ভাইরাস ধ্বংসকারী মলম হিসেবে রূপদান করা যায় তবে এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে ব্যবহৃত এন্টি-রেট্রোভাইরাল (anti-HIV) ওষুধ, যেমন T-20 এবং maraviroc প্রস্তুত করতে যে কৃত্রিম উপাদানসমূহের প্রয়োজন তার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে BanLec মলম প্রস্তুতিতে অনেক কম খরচ পড়বে।
একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বর্তমানে HIV এর সংক্রমন প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে HIV প্রতিরোধক যে সকল উপাদান আছে তা এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী নয়। কলা থেকে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত সস্তা, দীর্ঘস্থায়ী এবং নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় এই ধরণের মলম কার্যকরিতা বাড়াবে অনেকগুণ।
University of Michigan Medical School এর এই গবেষেণার প্রাপ্ত তথ্য মতে কলা থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের লেক্টিন, BanLec হলো সেই উপাদান যা ভাইরাস জীবানু ধ্বংস করে HIV-1 সঙ্ক্রমণ প্রতিরোধ করবে। এই আশ্চর্য উপাদান BanLec একটি সুগার আবদ্ধকারী প্রোটিন, যা বিভিন্ন উদ্ভিদে পাওয়া যায়। গবেষকরা অনেকদিন ধরেই লেক্টিন নিয়ে কাজ করছিলেন কারণ, লেক্টিন ভাইরাসের সুগারের সাথে আবদ্ধ হয়ে তার বিভিন্ন চেইন রিয়েকশন বন্ধ করে। BanLec ভাইরাল এনভেলপের সুগারের সাথে যুক্ত হয়ে HIV ভাইরাসকে আবদ্ধ করে ফেলে। এর মাধ্যমেই তাকে শরীরে অনুপ্রবেশে বাধা প্রদান করে।
প্রধান লেখক মাইকেল ডি সোয়ান্সন বলেন "HIV এর অন্যান্য ওষুধে সমস্যা হল ভাইরাস তার মিউটেশন ঘটিয়ে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু লেক্টিনের বিরুদ্ধে এই কাজটি করা সম্ভব নয়। কারন লেক্টিন, HIV ভাইরাল এনভেলপের চতূর্দিকে বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়, যার ফলে তা ভাইরাসের পক্ষে এতগুলো মিউটেশন করা সম্ভব নয়।"
সোয়ান্সন ও তাঁর সহযোগীরা আরো বলেন BanLec কে যদি ভ্যাজাইনাল বা এনাল ভাইরাস ধ্বংসকারী মলম হিসেবে রূপদান করা যায় তবে এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে ব্যবহৃত এন্টি-রেট্রোভাইরাল (anti-HIV) ওষুধ, যেমন T-20 এবং maraviroc প্রস্তুত করতে যে কৃত্রিম উপাদানসমূহের প্রয়োজন তার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে BanLec মলম প্রস্তুতিতে অনেক কম খরচ পড়বে।
একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বর্তমানে HIV এর সংক্রমন প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে HIV প্রতিরোধক যে সকল উপাদান আছে তা এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী নয়। কলা থেকে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত সস্তা, দীর্ঘস্থায়ী এবং নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় এই ধরণের মলম কার্যকরিতা বাড়াবে অনেকগুণ।
রোবট পথপ্রদর্শক

স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত ‘স্যানটেন্ডার ব্যাংক ভিজিটরস সেন্টার’ আয়তনে এতোই বড় যে এর বিশালতায় পথ হারিয়ে ফেলা খুবই সহজ। তাই আগত অতিথিদের জন্য পথপ্রদর্শক অর্থাৎ গাইড খুবই দরকার। তাই এই ব্যাংক প্রশাসন এক ঝাঁক খুঁদে রোবট গাইড তৈরি করেছে।ব্যাংকে আগত যে কেউ এসব রোবট পথপ্রদর্শক ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমেই রোবটের টাচ-স্ক্রীনে প্রথমে পছন্দের ভাষা ঠিক করে দিতে হবে। তারপর অতিথি তাতে সুবিধামত নিজ গন্তব্যের নাম নির্বাচন করতে পারবেন। সাথে সাথেই রোবটটি তার চাকা ব্যবহার করে পথ চলতে শুরু করবে এবং আক্ষরিক অর্থেই পথ প্রদর্শন করবে।এই রোবট বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে সিগা। নামটির অর্থ হচ্ছে Santander Interactive Guest Assistants. ব্যাংকের উদ্যোগে YDreams নামক এক কোম্পানি এসব রোবট তৈরী করেছে।ওয়াই-ড্রিমস এর দাবী, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে Swarm Robotics এর ধারণা বাস্তবায়নে তারাই প্রথম। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই উদাহরণের পর অন্যান্য ক্ষেত্রেও রোবটিকস ব্যবহারের সম্ভাব্যতা ও উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছে।[ছবিতে কয়েকটি সিগাকে দেখা যাচ্ছে]
বিশ্বের সবচেয়ে দামী এবং দ্রুততম গাড়ি

এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)