
আমাদের মধ্যে অনেকেই ডিপ্রেশান-জনিত রোগে ভুগলেও বিষয়টিকে তেমন পাত্তা না দেয়ায় রোগটি চিকিৎসাবিহীনই থেকে যায়। অথচ ডিপ্রেশান থেকে আস্তে আস্তে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যথাসময়ে ডিপ্রেশান প্রতিরোধের উদ্যোগ না নিলে রোগী ডিপ্রেশানের কারণে আত্মহত্যা বা মারাত্নক মারাত্মক কিছু করে বসা অস্বাভাবিক নয়। বহির্বিশ্বে ডিপ্রেশান-জনিত প্রচুর থেরাপী সহজলভ্য হলেও আমাদের দেশে এখনো এ সমস্যাটিকে এক ধরনের ‘বিলাসিতা-র চোখে দেখা হয়। যার কারনে ডিপ্রেশানজনিত চিকিৎসা তেমন সহজলভ্য নয়। তবে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারেন আপনি কি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা। নিচের দশটি পয়েন্টে ‘হ্যাঁ অথবা ‘না চিহ্নিত করুনঃ
১- প্রায় সময় মন খারাপ থাকে অথবা হতাশায় ভুগছেন
২- দৈনিক সাধারণ কাজকর্মে মনযোগ মনোযোগ দিতে পারছেন না
৩- কোনো কাজেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না
৪- ইদানিং আপনার শরীরের ওজন বেশ কমেছে অথবা খুব বেড়েছে
৫- কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা, অথবা পেটে ক্ষুধা না থাকলেও সবসময় খেতে ইচ্ছে করে
৬- ঘুম অনিয়মিত এবং প্রায় সময় বিঘ্ন ঘটছে
৭- অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন, সবকিছুতে আলসেমি লাগছে
৮- মনে হচ্ছে আপনি প্রচন্ড রকম ব্যস্ত, কোনো অবসরই পাচ্ছেন না
৯- নিজেকে তুচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। অথবা খুব তুচ্ছ কারণে, এমনকি বিনা কারণে অপরাধবোধে ভুগছেন ১০- প্রায় সময় মরে যাওয়ার কথা ভাবছেন আপনার স্কোরবোর্ডে পাঁচের অধিক ‘হ্যাঁ হলে আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন। স্কোর পাঁচের উপরে যত বেশী ‘হ্যাঁ’ হবে আপনার ডিপ্রেশানের মাত্রা তত বেশি এবং তত দ্রুত আপনার এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেহেতু আমাদের দেশে এখনো ডিপ্রেশানজনিত সহজলভ্য চিকিৎসাব্যবস্থা নেই, তাই প্রথমে নিজেই নিজের সাথে আলোচনা করুন। বেশ কিছু সময় হাতে নিয়ে কাগজ কলম নিয়ে বসুন। কী কী সম্ভাব্য কারণে আপনি হতাশায় ভুগছেন খুঁজে বের করুন এবং লিখে ফেলুন। নিজে বের করতে না পারলে খুব কাছের বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সহযোগিতা নিন। তার সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন এবং তাকে আপনার পরিস্থিতি থেকে সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করতে বলুন। একবার কারণগুলো নির্ণয় করা সম্পন্ন হয়ে গেলে ধাপে ধাপে লিস্ট করুন কিভাবে উক্ত কারণগুলোকে দূর করা যায়। দেখবেন, আপনার হতাশা অনেকটুকুই কমে গিয়েছে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন