রবিবার, ১৬ মে, ২০১০

কিভাবে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা?


আমাদের মধ্যে অনেকেই ডিপ্রেশান-জনিত রোগে ভুগলেও বিষয়টিকে তেমন পাত্তা না দেয়ায় রোগটি চিকিৎসাবিহীনই থেকে যায়। অথচ ডিপ্রেশান থেকে আস্তে আস্তে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যথাসময়ে ডিপ্রেশান প্রতিরোধের উদ্যোগ না নিলে রোগী ডিপ্রেশানের কারণে আত্মহত্যা বা মারাত্নক মারাত্মক কিছু করে বসা অস্বাভাবিক নয়। বহির্বিশ্বে ডিপ্রেশান-জনিত প্রচুর থেরাপী সহজলভ্য হলেও আমাদের দেশে এখনো এ সমস্যাটিকে এক ধরনের ‘বিলাসিতা-র চোখে দেখা হয়। যার কারনে ডিপ্রেশানজনিত চিকিৎসা তেমন সহজলভ্য নয়। তবে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারেন আপনি কি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা। নিচের দশটি পয়েন্টে ‘হ্যাঁ অথবা ‘না চিহ্নিত করুনঃ
১- প্রায় সময় মন খারাপ থাকে অথবা হতাশায় ভুগছেন
২- দৈনিক সাধারণ কাজকর্মে মনযোগ মনোযোগ দিতে পারছেন না
৩- কোনো কাজেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না
৪- ইদানিং আপনার শরীরের ওজন বেশ কমেছে অথবা খুব বেড়েছে
৫- কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা, অথবা পেটে ক্ষুধা না থাকলেও সবসময় খেতে ইচ্ছে করে
৬- ঘুম অনিয়মিত এবং প্রায় সময় বিঘ্ন ঘটছে
৭- অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন, সবকিছুতে আলসেমি লাগছে
৮- মনে হচ্ছে আপনি প্রচন্ড রকম ব্যস্ত, কোনো অবসরই পাচ্ছেন না
৯- নিজেকে তুচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। অথবা খুব তুচ্ছ কারণে, এমনকি বিনা কারণে অপরাধবোধে ভুগছেন ১০- প্রায় সময় মরে যাওয়ার কথা ভাবছেন আপনার স্কোরবোর্ডে পাঁচের অধিক ‘হ্যাঁ হলে আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন। স্কোর পাঁচের উপরে যত বেশী ‘হ্যাঁ’ হবে আপনার ডিপ্রেশানের মাত্রা তত বেশি এবং তত দ্রুত আপনার এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেহেতু আমাদের দেশে এখনো ডিপ্রেশানজনিত সহজলভ্য চিকিৎসাব্যবস্থা নেই, তাই প্রথমে নিজেই নিজের সাথে আলোচনা করুন। বেশ কিছু সময় হাতে নিয়ে কাগজ কলম নিয়ে বসুন। কী কী সম্ভাব্য কারণে আপনি হতাশায় ভুগছেন খুঁজে বের করুন এবং লিখে ফেলুন। নিজে বের করতে না পারলে খুব কাছের বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সহযোগিতা নিন। তার সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন এবং তাকে আপনার পরিস্থিতি থেকে সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করতে বলুন। একবার কারণগুলো নির্ণয় করা সম্পন্ন হয়ে গেলে ধাপে ধাপে লিস্ট করুন কিভাবে উক্ত কারণগুলোকে দূর করা যায়। দেখবেন, আপনার হতাশা অনেকটুকুই কমে গিয়েছে!

এইডস প্রতিরোধ করবে কলা! :-)


আপনার পছন্দের ফল যদি কলা হয়ে থাকে তাহলে তাকে স্বাস্থ্যের জন্য আরো উপকারী হিসেবে যাচাই করতে হবে এখন থেকে। গত সপ্তাহে Journal of Biological Chemistry তে প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়, কলার মধ্যে এমন প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা বর্তমানে ব্যবহৃত কৃত্রিম উপায়ে তৈরী anti-HIV দুইটি ওষুধের মত কার্যকর। গবেষকদের মতে, এর ফলে যৌন সংক্রমিত এইডস প্রতিরোধে আরো সস্তা ও প্রাকৃতিক উপাদানের সন্ধান পাওয়া গেল।
University of Michigan Medical School এর এই গবেষেণার প্রাপ্ত তথ্য মতে কলা থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের লেক্টিন, BanLec হলো সেই উপাদান যা ভাইরাস জীবানু ধ্বংস করে HIV-1 সঙ্ক্রমণ প্রতিরোধ করবে। এই আশ্চর্য উপাদান BanLec একটি সুগার আবদ্ধকারী প্রোটিন, যা বিভিন্ন উদ্ভিদে পাওয়া যায়। গবেষকরা অনেকদিন ধরেই লেক্টিন নিয়ে কাজ করছিলেন কারণ, লেক্টিন ভাইরাসের সুগারের সাথে আবদ্ধ হয়ে তার বিভিন্ন চেইন রিয়েকশন বন্ধ করে। BanLec ভাইরাল এনভেলপের সুগারের সাথে যুক্ত হয়ে HIV ভাইরাসকে আবদ্ধ করে ফেলে। এর মাধ্যমেই তাকে শরীরে অনুপ্রবেশে বাধা প্রদান করে।
প্রধান লেখক মাইকেল ডি সোয়ান্সন বলেন "HIV এর অন্যান্য ওষুধে সমস্যা হল ভাইরাস তার মিউটেশন ঘটিয়ে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু লেক্টিনের বিরুদ্ধে এই কাজটি করা সম্ভব নয়। কারন লেক্টিন, HIV ভাইরাল এনভেলপের চতূর্দিকে বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়, যার ফলে তা ভাইরাসের পক্ষে এতগুলো মিউটেশন করা সম্ভব নয়।"
সোয়ান্সন ও তাঁর সহযোগীরা আরো বলেন BanLec কে যদি ভ্যাজাইনাল বা এনাল ভাইরাস ধ্বংসকারী মলম হিসেবে রূপদান করা যায় তবে এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে ব্যবহৃত এন্টি-রেট্রোভাইরাল (anti-HIV) ওষুধ, যেমন T-20 এবং maraviroc প্রস্তুত করতে যে কৃত্রিম উপাদানসমূহের প্রয়োজন তার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে BanLec মলম প্রস্তুতিতে অনেক কম খরচ পড়বে।
একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বর্তমানে HIV এর সংক্রমন প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে HIV প্রতিরোধক যে সকল উপাদান আছে তা এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী নয়। কলা থেকে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত সস্তা, দীর্ঘস্থায়ী এবং নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় এই ধরণের মলম কার্যকরিতা বাড়াবে অনেকগুণ।

রোবট পথপ্রদর্শক


স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত ‘স্যানটেন্ডার ব্যাংক ভিজিটরস সেন্টার’ আয়তনে এতোই বড় যে এর বিশালতায় পথ হারিয়ে ফেলা খুবই সহজ। তাই আগত অতিথিদের জন্য পথপ্রদর্শক অর্থাৎ গাইড খুবই দরকার। তাই এই ব্যাংক প্রশাসন এক ঝাঁক খুঁদে রোবট গাইড তৈরি করেছে।ব্যাংকে আগত যে কেউ এসব রোবট পথপ্রদর্শক ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমেই রোবটের টাচ-স্ক্রীনে প্রথমে পছন্দের ভাষা ঠিক করে দিতে হবে। তারপর অতিথি তাতে সুবিধামত নিজ গন্তব্যের নাম নির্বাচন করতে পারবেন। সাথে সাথেই রোবটটি তার চাকা ব্যবহার করে পথ চলতে শুরু করবে এবং আক্ষরিক অর্থেই পথ প্রদর্শন করবে।এই রোবট বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে সিগা। নামটির অর্থ হচ্ছে Santander Interactive Guest Assistants. ব্যাংকের উদ্যোগে YDreams নামক এক কোম্পানি এসব রোবট তৈরী করেছে।ওয়াই-ড্রিমস এর দাবী, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে Swarm Robotics এর ধারণা বাস্তবায়নে তারাই প্রথম। তবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এই উদাহরণের পর অন্যান্য ক্ষেত্রেও রোবটিকস ব্যবহারের সম্ভাব্যতা ও উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছে।[ছবিতে কয়েকটি সিগাকে দেখা যাচ্ছে]

বিশ্বের সবচেয়ে দামী এবং দ্রুততম গাড়ি

আমরা আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামী, বিলাসবহুল, অত্যাধুনিক এবং দ্রুততম গাড়িটির সাথে। গাড়িটির নাম হলো “Bugatti Veyron” । যার দাম পড়বে ১.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০০৯ সাল পর্যন্ত গাড়িটি বিশ্বে সবচেয়ে দামী গাড়ীর তালিকায় শীর্ষে ছিল।এক নজরে দেখে নিন কিছু তথ্য :-• Model Bugatti Veyron 16.4• Engine 7993cc, 16 cylinders in a W• Power 1001bhp @ 6000rpm• Torque 922 lb ft @ 2200rpm• Transmission 7-speed DSG, manual and auto• Fuel 11.7mpg (combined)• CO2 574g/km• Acceleration 0-62mph: 2.5sec• Top speed 253mph• Price $1.3 million• Rating Five stars[ছবিতে একটি বুগাটি ভেরন দেখা যাচ্ছে]

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০

সাগরের নিচের জাদুঘর ।










ঢাকাকে বদলাতে চাই উন্নত নগর পরিচালনব্যবস্থা

প্রায় ৪৭ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট নগর বিশেষজ্ঞ আর এল মায়ার (R. L. Meier) নগরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির এক তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে একটি শহর বা নগরকে Living Organism বা জীবের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর মতে, একটি জীবের যেমন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকে, তেমনি একটি শহর বা নগরের বিভিন্ন অংশ থাকে, যেগুলো নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। এদিক থেকে মানবদেহের সঙ্গেও একটি নগরের তুলনা চলে। আমাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেমন—হাত, পা, নাক, মুখ, চোখ ইত্যাদির বিভিন্ন কাজ রয়েছে এবং এই কাজগুলো সংগঠিত হয় সমন্বয়ের মাধ্যমে। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। আমাদের যখন খাবারের প্রয়োজন হয়, হেঁটে আমরা দোকানে যাই, চোখ দিয়ে খাবারটা ঠিক করি, নাক দিয়ে এর গুণাগুণ পরীক্ষা করি ও হাত দিয়ে বহন করে নিয়ে আসি। একইভাবে একটি শহর বা নগর তখনই বাসযোগ্য হয়, যখন এর আবাসিক এলাকার সঙ্গে সঙ্গে কাজকর্মের জন্য বাণিজ্যিক, প্রশাসনিক বা শিল্প এলাকা থাকে, পড়ালেখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দ্রব্যসামগ্রীর জন্য শপিং এলাকা, অবসর সময়ের জন্য বিনোদন এলাকা এবং বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট থাকে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের মাধ্যমে। তেমনি একটি নগরের বিভিন্ন অংশ নগরের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না এবং নগরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যে মিথস্ক্রিয়া (interaction) তা ভারসাম্যপূর্ণ এবং সঠিক পর্যায়ে কি না তা নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নগরেরও একটি মস্তিষ্কের প্রয়োজন। এই মস্তিষ্ককে আমরা বলতে পারি নগর পরিচালনব্যবস্থা। যে নগরের পরিচালনব্যবস্থা যত উন্নত সে নগরের সমস্যাও তত কম।ঢাকা মহানগর মাত্র তিন দশকে (১৯৬১-৯১) একটি মাঝারি মানের শহর থেকে মেগাসিটিতে পরিণত হয়। ৫০ বছরে (১৯৫১-২০০১) ঢাকার লোকসংখ্যা বেড়েছে ২৫ গুণ এবং আয়তন বেড়েছে প্রায় ১৮ গুণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই মহানগরের সমস্যাও বেড়েছে সমান তালে। ঢাকা এখন সমস্যাসংকুল এক মহানগর। সমস্যার এই পাহাড় গড়ে ওঠার পেছনে যে বিষয়টির সবচেয়ে বড় অবদান তা হচ্ছে যথাযথ নগর পরিচালনব্যবস্থার অনুপস্থিতি। বিগত পাঁচ দশকে ঢাকার নগর পরিচালনব্যবস্থার গুণগত মানের পরিবর্তন তো হয়ইনি, বরং তার অবনতি হয়েছে।১৯৫৬ সালে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী, ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) গঠিত হয়। তখনকার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নের দায়িত্ব পড়ে ডিআইটির ওপর। ডিআইটি পরিচালিত হতো একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। পদাধিকারবলে তত্কালীন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মিউনিসিপ্যাল কমিটিদ্বয়ের চেয়ারম্যান, ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও ঢাকার ডেপুটি কমিশনার এই বোর্ডের সদস্য ছিলেন। চেয়ারম্যান এবং আরও তিনজন সদস্য সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হতেন। নগর পরিকল্পনায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিও সদস্য মনোনীত হতেন। ডিআইটির বড় অর্জন হচ্ছে ১৯৫৯ সালের মহাপরিকল্পনা যা অনেকাংশে বাস্তবায়িত হয়েছে। ঢাকার মাত্র ১৭ লাখ বাসিন্দার কথা চিন্তা করে এই পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছিল। এতে কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও ঢাকা শহরকে কিছুটা হলেও মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে। কেননা এর পর আর কোনো মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের আমলে ডিআইটির স্থলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সৃষ্টি করা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আমলানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রেষণে রাজউক বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত হন। রাজউক বোর্ডে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিত্ব না থাকায় এটি ঢাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং এর কাজ মূলত ভূমি উন্নয়ন, প্লট বিতরণ ও হস্তান্তর, বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন ইত্যাদিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকা মহানগরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বৃহত্তম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)। পাকিস্তান আমলের ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৮ সালে পরিণত হয় ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে এবং ১৯৯০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশন। পাকিস্তান আমলে যেটি ছিল একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ আমলে তা পরিণত হয় একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানে। রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে সেবা প্রদান ছাড়া ঢাকা মহানগরের সমন্বিত পরিকল্পনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিসিসির তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। কেননা পানি, বিদ্যুত্ ও গ্যাস সরবরাহ, পরিবহন সেবাদান এবং মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে, ঢাকা মহানগরের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য কোনো ধরনের প্রক্রিয়া, ব্যবস্থা বা সংগঠনের অভাব রয়েছে। এর ফলে আমরা বিশৃঙ্খল নগর পরিচালনা এবং এমন এক অরাজক পরিস্থিতি দেখি, যা ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নে বিরাট বাধা।বিশ্বের ইতিহাসে যেসব সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে, তাদের বেশির ভাগই নগরভিত্তিক। নগরের জন্ম ও মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই এগুলোর উন্মেষ বা বিলুপ্তি ঘটেছে। যেখানে নগর পরিচালনব্যবস্থায় জনগণের সম্পৃক্ততা বেশি ছিল সেখানে নগরসভ্যতাও বেশি দিন টিকেছিল। আধুনিক যুগের মানুষ তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ ধারণায় উপনীত হয়েছে যে একটি জীবের মতো একটি নগরেরও জন্ম, প্রবৃদ্ধি, পতন বা মৃত্যু হতে পারে। একটি মানবশিশু যখন বেড়ে ওঠে তখন তার বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়। এর পেছনে একটি পরিকল্পনা কাজ করে। একটি নগর যখন বড় হতে থাকে তখন এর বিভিন্ন অংশও আনুপাতিক হারে বাড়ে, যদি এর কোনো পরিকল্পনা থাকে এবং পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন হয়। একটি অপরিকল্পিত নগরের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি আনুপাতিক হারে নাও হতে পারে। যথাযথ নগর পরিচালনার মাধ্যমে একটি নগরের প্রবৃদ্ধিকে কিছুটা ভারসাম্যপূর্ণ করা সম্ভব, যদিও একটি পরিকল্পিত নগরের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নগর পরিচালনার মাধ্যমে যতটুক অর্জন করা সম্ভব, একটি অপরিকল্পিত নগরের ক্ষেত্রে ততটুকু সম্ভব নয়।নগর পরিচালনব্যবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় উপযুক্ত নগরপরিচালন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারত বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছে। ভারতের বড় বড় নগর ও মেগাসিটিতে বিভিন্ন ধাপে উন্নত নগর পরিচালনব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং হচ্ছে। মেগাসিটি কলকাতায় কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (সিআইটি) ছিল প্রথম দিককার নগর পরিচালনব্যবস্থা। পরে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ১৯৭০ সালে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সৃষ্টি করা হয় (সিএমডিএ বা কেএমডিএ)। তবে এতে জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না। বৃহত্তর কলকাতার আয়তন ১৮৫৪ বর্গ কিলোমিটার এবং এতে ৪১টি নগর ও ১০০টি গ্রামীণ স্থানীয় সরকার রয়েছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ এবং স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গ মেট্রোপলিটন প্ল্যানিং কমিটি অ্যাক্টের ধারা অনুযায়ী কলকাতা মেট্রোপলিটন প্ল্যানিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মোট ৬০ জন সদস্যের মধ্যে ৪০ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ২০ জন সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য, যাঁরা বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। এই কমিটি অত্যন্ত শক্তিশালী। এর প্রধান একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং এই কমিটির তত্ত্বাবধানে কেএমডিএ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করে থাকে।ফিলিপাইনের রাজধানী মেট্রো ম্যানিলা ঢাকার মতোই একটি সমস্যাসংকুল মেগাসিটি। জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ও আয়তন ৬৩০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে ১৩টি নগর ও চারটি মিউনিসিপ্যালিটি। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকেই মেট্রো ম্যানিলার নগর পরিচালনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন নগর ও মিউনিসিপ্যালিটির মেয়ররা। তাঁরা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় বিধানের জন্য একটি লিগ গঠন করেন। তবে রাজধানীর সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় ১৯৭৫ সালে এক রেফারেন্ডামের মাধ্যমে মেট্রো ম্যানিলা কমিশন গঠন করা হয়। এর সভাপতি ও কমিশনাররা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হতেন। এতে জনপ্রতিনিধিদের কোনো ভূমিকা না থাকায় ১৯৯৫ সালে এই কমিশন বিলুপ্ত করে ফিলিপাইন কংগ্রেসের এক অ্যাক্টের মাধ্যমে উচ্চক্ষমতার মেট্রো ম্যানিলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মেট্রো ম্যানিলা কাউন্সিল হচ্ছে এই কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বডি। মেট্রো ম্যানিলার ১৭ জন মেয়র এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রধানেরা এই কাউন্সিলের সদস্য। তবে ভোটাধিকার রয়েছে কেবল মেয়রদের। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হন। তাঁর পদমর্যাদা কেবিনেট মন্ত্রীর সমান। নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারগুলোর ভূমিকা থাকায় মেট্রো ম্যানিলার সমন্বিত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান নগর পরিচালন ব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ফলপ্রসূ।খণ্ডিত, বিচ্ছিন্ন ও জনগণের অংশীদারিবিহীন নগর পরিচালনব্যবস্থার কারণে ঢাকা মহানগরের অবস্থা প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। একটি উচ্চক্ষমতার, প্রতিনিধিত্বশীল, অংশীদারত্বমূলক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ নগর পরিচালন ব্যবস্থা ছাড়া ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে না। এ উদ্দেশ্যে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো:ক. ঢাকার স্ট্রাকচার ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান প্রণয়নের জন্য প্রায় ১৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজউকের আওতাধীন এই এলাকাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। এর নাম দেওয়া যেতে পারে ঢাকা মেট্রো এলাকা। এটি হবে রাজধানীর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ এলাকা।খ. সম্পূর্ণ ঢাকা মেট্রো এলাকাকে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য পৌরসভা যেগুলো এই এলাকায় রয়েছে সেগুলোকে এই বিশেষ এলাকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।গ. ঢাকা মেট্রো এলাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিএমডিসি) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একজন সিনিয়র মন্ত্রীকে (পরিকল্পনা বা অর্থমন্ত্রী) এর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে এর ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। ঢাকা মেট্রো এলাকার সব সাংসদ ও পৌর মেয়ররাও ডিএমডিসির সদস্য হবেন। ঢাকার জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলো যেমন ওয়াসা, ডেসা, ডেসকো, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইত্যাদির প্রধানেরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যেমন ভূমি, পরিবেশ, স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, যোগাযোগ ইত্যাদির প্রতিনিধিরাও ডিএমডিসির সদস্য হবেন। এই কাউন্সিলের উদ্দেশ্য হবে ঢাকা মেট্রো এলাকার বর্তমান ও ভবিষ্যত্ প্রয়োজন ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, প্রয়োজনগুলো মিটানো ও সমস্যাগুলোর সমাধানের উদ্দেশ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা। ঘ. ডিএমডিসির একটি অফিস থাকবে এবং সচিব পদমর্যাদার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকবেন।ঙ. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণরূপে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। এর নতুন নাম হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন প্ল্যানিং অথরিটি (ডিএমপিএ)। এর কাজ হবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ষমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করা এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন মনিটর করা। এর বোর্ড হবে প্রতিনিধিত্বশীল ও অংশীদারিমূলক। ঢাকা মেট্রো এলাকার সব পৌরসভা ও ডিসিসির প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা বা ব্যক্তিরা ডিএমপিএর বোর্ড সদস্য হবেন। এই প্রতিষ্ঠানটিকে সম্পূর্ণরূপে ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের অধীনে ন্যস্ত করতে হবে। ডিএমডিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডিএমপিএর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন।চ. ডিএমপিএ কর্তৃক প্রণীত এবং ডিএমডিসি কর্তৃক অনুমোদিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং মেট্রো এলাকার সব পৌরসভাকে প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো মেট্রো এলাকার স্থানীয় সরকারগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে। ঢাকা মেট্রো এলাকায় যথাযথ নগর পরিচালনব্যবস্থা প্রবর্তনের এটি হবে প্রথম ধাপ। ডিএমডিসির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এর কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাগুলো চিহ্নিত এবং তা নিরসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ঢাকা মেট্রো এলাকার নগর পরিচালন ব্যবস্থা ধাপে ধাপে একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

রবিবার, ২ মে, ২০১০

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ১০টি প্রধান বদভ্যাস জনিত কারণ


10 Biggest Brain Damaging Habits
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ১০টি প্রধান কারণ
১। সকালের নাস্তা সময়মত না খাওয়া যার ফলে রক্তে সুগারের পরিমান হ্রাস পায় এবং ব্রেইন সঠিক পুষ্টি পায় না।
২। অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস, যা আপনার ব্রেইনের এর রক্তনালীকে শক্ত করে তার কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
৩। ধুমপান, কোন সন্দেহ নেই ধুমপান ব্রেইন এর ক্ষমতা হ্রাস করে। এমন কি আলজেইমার রোগেরও কারন।
৪। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর।
৫। বায়ু দূষণ, আমরা প্রশ্বাসের সাথে যে অক্সিজেন গ্রহন করি তার প্রায় ৩৫ ভাগই আমাদের ব্রেইনের কাজে খরচ হয়। সুতরাং দূষিত বায়ুতে আক্সজেনের স্বল্পতার কারনে আমাদের ব্রেইনেও কম অক্সিজেন যাবে। এতে ব্রেইনের দক্ষতা কমে যায়
৬। ঘুমের সমস্যা, ঘুম মানে হচ্ছে ব্রেইনের বিশ্রাম। সুতরাং যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতাও কম হবে।
৭। মাথা ঢেকে ঘুমানো মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। কারন তখন গৃহীত বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান বেশী থাকে।
৮। অসুস্থ অবস্থায় মাথার কাজ করাও ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। অসুস্থ অবস্থায় ব্রেইনে বিশ্রাম দরকার।
৯। বিশ্লেষণধর্মী বা যুক্তি নির্ভর চিন্তা ভাবনা আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যারা এধরনে চিন্তা কম করেন তাদের ব্রেইন তুলনামূলক কম দক্ষ হয়ে থাকে।
১০। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন খুব কম কথা বলা মস্তিকের সঠিক বিকাশের জন্য ভালো নয়।ধন্যবাদ।

Few Definitions. ......


School: A place where Papa pays and Son plays.
Life Insurance: A contract that keeps you poor all your life so that you can die Rich.
Nurse: A person who wakes u up to give you sleeping pills.
Marriage: It's an agreement in which a man loses his bachelor degree and a woman gains her masters.
Divorce: Future tense of Marriage.
Tears: The hydraulic force by which masculine willpower is defeated byfeminine waterpower.
Lecture: An art of transferring information from the notes of the Lecturer to the notes of the students without passing through "the minds of either"
Conference: The confusion of one man multiplied by the number present.
Compromise: The art of dividing a cake in such a way that everybody believes he got the biggest piece.
Dictionary : A place where success comes before work.Conference
Room : A place where everybody talks, nobody listens and everybody disagrees later on.
Father: A banker provided by nature.
Criminal: A guy no different from the rest....except that he got caught.
Boss: Someone who is early when you are late and late when you are early.
Politician : One who shakes your hand before elections and your Confidence after.
Doctor : A person who kills your ills by pills, and kills you by bills.
Classic: Books, which people praise, but do not read.
Smile: A curve that can set a lot of things straight.
Office: A place where you can relax after your strenuous home life.
Yawn: The only time some married men ever get to open their mouth.
Etc.: A sign to make others believe that you know more than you actually do.
Committee : Individuals who can do nothing individually and sit to decide that nothing can be done together.
Experience: The name men give to their mistakes.Atom Bomb: An invention to end all inventions.
Philosopher: A fool who torments himself during life, to be spoken of whendead.

Wonderful Information about Eyes

1>>Eyes are the most complex organs you possess except for your brain.
2>>Eyes are composed of more than two million working parts.
3>>Eyes can process 36,000 bits of information every hour.
4>>Under the right conditions, can discern the light of a candle at a distance of 14 miles.
5>>Eyes contribute towards 85% of your total knowledge.
6>>Eyes utilize 65% of all the pathways to the brain.
7>>Eyes can instantaneously set in motion hundreds of muscles and organs in your body.
8>>In a normal life-span, will bring you almost 24 million images of the world around you.
9>>The external muscles that move the eyes are the strongest muscles in the human body for the job that they have to do. They are 100 times more powerful than they need to be.
10>>The adult eyeball measures about 1 inch (2.5 cm) in diameter. Of its total surface area only one-sixth is exposed -- the front portion.
11>>The eye is the only part of the human body that can function at 100% ability at any moment, day or night, without rest. Your eyelids need rest, the external muscles of your eyes need rest, the lubrication of your eyes requires replenishment, but your eyes themselves "never" need rest. But please rest them!
12>>Eyes are your most precious sense... care for them properly!

0 RULES 4 A GOOD DAY



1. TODAY I WILL NOT STRIKE BACK: If someone is rude, if someone is impatient, if someone is unkind...I will not respond in a like manner.
2. TODAY I WILL ASK GOD TO BLESS MY "ENEMY":If I come across someone who treats me harshly or unfairly, I will quietly ask God to bless that individual. I understand the "enemy"could be a family member, neighbor, co-worker, or a stranger.
3. TODAY I WILL BE CAREFUL ABOUT WHAT I SAY:I will carefully choose and guard my words being certain that I do not spread gossip.
4. TODAY I WILL GO THE EXTRA MILE:I will find ways to help share the burden of another person.
5. TODAY I WILL FORGIVE:I will forgive any hurts or injuries that come my way.
6. TODAY I WILL DO SOMETHING NICE FOR SOMEONE,BUT I WILL NOT DO IT SECRETLY:I will reach out anonymously and bless the life of another.
7. TODAY I WILL TREAT OTHERS THE WAY I WISH TO BETREATED: I will practice the golden rule - "Do unto others as I would havethem do unto me" - with everyone I encounter.
8. TODAY I WILL RAISE THE SPIRITS OF SOMEONE IDISCOURAGED:My smile, my words, my expression of support, can make the difference to someone who is wrestling life.
9. TODAY I WILL NATURE MY BODY:I will eat less; I will eat only healthy foods. I will thank God for mybody.
10. TODAY I WILL GROW SPIRITUALLY:I will spend a little more time in prayer today: I will begin readingsomething spiritual or inspirational today; I will find a quiet place(at some point during the day)!

30 lines to make you smile

1.. My wife and I divorced over religious differences…. .She thought she was God and I didn’t.
2.. I don’t suffer from insanity; I enjoy every minute of it.
3.. I Work Hard Because Millions On Welfare Depend on Me!
4.. Some people are alive only because it’s illegal to kill them.
5.. I used to have a handle on life, but it broke.
6.. Don’t take life too seriously; No one gets out alive.
7.. You’re just jealous because the voices only talk to me.
8.. Beauty is in the eye of the beer holder.
9.. Earth is the insane asylum for the universe.
10.. I’m not a complete idiot –Some parts are missing.
11.. Out of my mind. Back in five minutes.
12. NyQuil, the st uffy, sneezy, why-the-heck- is-the-room -spinning medicine.
13.. God must love stupid people; He made so many.
14.. The gene pool could use a little chlorine.
15.. Consciousness: That annoying time between naps.
16.. Ever stop to think, and forget to start again?
17.. Being “over the hill” is much better than being under it!
18.. Wrinkled Was Not One of the Things I Wanted to Be When I Grew up.
19.. Procrastinate Now!
20.. I Have a Degree in Liberal Arts; Do You Want Fries With That?
21.. A hangover is the wrath of grapes.
22.. A journey of a thousand miles begins with a cash advance
23. Stupidity is not a handicap. Park elsewhere!
24.. They call it PMS be cause Mad Cow Disease was already taken.
25.. He who dies with the most toys is nonetheless dead.
26.. A picture is worth a thousand words, but it uses up three thousand times the memory.
27.. Ham and eggs: A day’s work for a chicken, a lifetime commitment for a pig.
28.. The trouble with life is there’s no background music.
29.. The original point and click interface was a Smith and Wesson.
30.. I smile because I don’t know what the heck is going on.