বুধবার, ২ জুন, ২০১০
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষাঃ তথ্য
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইটগুলোতে। কারণ সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখাবিষয়ক বিভিন্ন পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজনগুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়। এ ছাড়া ‘আইডিপি অস্ট্রেলিয়া’ (International Development Program-Australia) আন্তর্জাতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একমাত্র সমন্বিত প্রতিনিধি। বাংলাদেশে এর অফিস ঢাকার গুলশান ২ নম্বর গোলচক্কর থেকে অল্প দূরে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে। ফোনঃ ৯৮৮৩৫৪৫, ই-মেইলঃ
info.dhaka@idp.com
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক শিক্ষা সংস্থার ‘স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া’ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখাবিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম, বিভিন্ন বিষয়, পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার খরচ, বৃত্তি, ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া, থাকা-খাওয়ার সুবিধা ও অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতিটি অনুমোদিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় বা অন্য যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এ জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে হয়। অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য আসার ছয়টি মূল ধাপ আছে। এগুলো হলো পড়ার পরিকল্পনা, বিষয় নির্বাচন, ভর্তির আবেদন, ভিসার আবেদন, দেশত্যাগের আগে করণীয় এবং অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছার পর করণীয়।
১. পড়ার পরিকল্পনাঃ
সর্বপ্রথম একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে দেখতে হবে, তার নিজের ক্যারিয়ারের জন্য কোন ধরনের কোর্স বা বিষয়ে সে আগ্রহী। সে কোন বিষয়ে পড়ালেখা করতে চায়, তার বর্তমান যোগ্যতা কতটুকু, সে যে বিষয়ে আগ্রহী তা শেষ করতে কত সময় লাগবে এবং সর্বোপরি, সে কোথায় এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী তাও ঠিক করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়াতে চার ধরনের পড়ালেখার জন্য একজন শিক্ষার্থী আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি, কারিগরি ডিগ্রি, স্কুল-কলেজ এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা। এর পর প্রতিটি আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীকে পড়াকালীন খরচের কথা আগেভাগে চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা করতে হয়। টিউশন ফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিষয়ভেদে বিভিন্ন হয়। থাকা-খাওয়ার খরচও অস্ট্রেলিয়ায় জায়গাভেদে বিভিন্ন। মনে রাখা প্রয়োজন, ভিসার আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় খরচের সামর্থø দেখাতে ব্যর্থ হলে সাধারণত ভিসার আবেদন গ্রাহ্য হয় না। এখানে স্নাতকপূর্ব কোর্সের আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের বেশির ভাগ পূর্ণ খরচ দিয়ে পড়ালেখা করে। কারণ স্নাতকপূর্ব কোর্সে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির সংখ্যা খুবই সীমিত এবং তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থাও নেই। অনুরূপভাবে ডিপ্লোমা ও অন্য কোর্সগুলোতে বৃত্তি নেই বললেই চলে। তবে স্নাতকোত্তর গবেষণাভিত্তিক কোর্সে বেশ কিছু বৃত্তি আছে, যেমন IPRS, AusAid, গ্র্যাজুয়েট বৃত্তি ইত্যাদি।
২. বিষয় নির্বাচনঃ
অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের যেসব বিষয়ে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দেয, সেগুলো থেকে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে নিজের পড়ার পরিকল্পনা অনুসারে একটিকে বেছে নিতে হয়। সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিষয় বাছাই করার পর এই বিষয়টি যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ আছে, সেগুলোর তালিকা পাওয়া যায়। এখান থেকে এক বা একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা যেতে পারে। এর পর দেখতে হবে, এসব বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পড়ার জন্য একজন ছাত্র বা ছাত্রীর কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, খরচ কেমন হবে ইত্যাদি। যোগ্যতার পরিমাপ প্রতিষ্ঠানটির মান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।অনেক বিষয়ে (যেমন এমবিএ) ভর্তির জন্য কাজের অভিজ্ঞতা একটি পূর্বশর্ত হতে পারে। এ ছাড়া ভর্তিচ্ছু একজন ছাত্র বা ছাত্রীর আগের একাডেমিক রেকর্ড ও ইংরেজি দক্ষতা (যেমন IELTS) অস্ট্রেলিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নূøনতম চাহিদার কম হলে সাধারণত ভর্তি, বৃত্তি বা ভিসা কোনোটির আবেদনই বিবেচনা করা হয় না। উল্লেখ্য, বৃত্তির জন্য আবেদন করলে ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা (IELTS স্কোর) ভর্তির আবেদনপত্রের সাথে পাঠাতে হয়।
৩. ভর্তির আবেদনঃ
একজন ছাত্র বা ছাত্রী একাধিক বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানে পৃথকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় যোগাযোগ করলে তারা সাধারণ ‘অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ’ পোস্ট করে পাঠিয়ে দেয়। পূরণকৃত আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীকে আগের একাডেমিক রেকর্ডের পূর্ণ বিবরণ (মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট) ও সনদ, ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা (যেমন IELTS স্কোর) ও অভিজ্ঞতার সনদ সংযুক্ত করতে হয়। এর পর আবেদনকারী তার আবেনদপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট যেমন আইডিপি অস্ট্রেলিয়ার (Internationlal Development Program-Australia) মাধ্যমে বা সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভর্তি শাখায় পোস্ট করে পাঠাতে পারে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র পাওয়ার পর আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফলাফল জানায়।
৪. ভিসার আবেদনঃ
একজন আবেদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার পেলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ভিসা আবেদন ফিসহ জমা দিতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদনের আগে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি পরিশোধ এবং অস্ট্রেলিয়ার সরকার অনুমোদিত যেকোনো কোম্পানির সাথে ১ বছরের মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তির নিশ্চয়তা সনদ (ECOE-Electronic Conformation of Enrolment) ইস্যু করে, যা ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। এ ছাড়া আবেদনকারীকে পড়ালেখার সময় খরচের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা ব্যাংকে আছে কি না, এর ব্যাংক হিসাব ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয়। উল্লেখ্য, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনীয় খরচের জোগান তাদের বৃত্তি থেকে দেখাতে পারে। প্রাপ্ত বৃত্তি কোন খাতে (টিউশন ফি, মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স, থাকা, খাওয়া) এবং বছরে কত দেবে তা স্পষ্টভাবে অফার লেটারে উল্লেখ থাকে। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসার সব যোগ্যতা পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর জন্য প্রি-ভিসা ((Pre-visa) ইস্যু করে। এ সময় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে একজন অনুমোদিত ডাক্তারের কাছে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয়। এর পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করে। উল্লেখ্য, প্রাপ্ত স্টুডেন্ট ভিসায় পার্টটাইম কাজের অনুমতি না থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে এজন্য আবেদন করলে সাধারণত অনুমতি পাওয়া যায়।
৫. দেশত্যাগের আগে করণীয়ঃ
ভিসা পাওয়ার পর তারিখ ঠিক করে বিমানের টিকিট কিনতে হয়। সাধারণত কোর্স শুরু হওয়ার ১-২ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসে পৌঁছলে চলে। দেশত্যাগ করে নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে আরো কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়। যেমন অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার উপযুক্ত পোশাক জোগাড় এবং প্রাথমিকভাবে থাকা-খাওয়ার জন্য অন্য কারো সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সব বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (যেমন মোনাশ, মেলবোর্ন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে) আন্তর্জাতিক অফিস ছাড়াও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বা মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে কোনো সাহায্যকারী বন্ধু পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানকে আগেই জানাতে হয়। ৬. পৌঁছার পর করণীয়ঃ
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে কাগজে-কলমে ভর্তির শেষ ফরমালিটি সম্পন্ন করতে হয়। অনেক সময় কোর্স শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে, যেখানে কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নতুন ছাত্রছাত্রীদের এরকম প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো না হলে প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ওয়েবসাইট তথ্যসূত্রঃ
1.http://www.goingtouni.gov.au/
2. http://www.studyinaustralia.gov.au/
3. http://www.immi.gov.au/students/index.htm
4. http://www.idp.com/bangladesh
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার খোঁজখবর
সেমিস্টার ও ডিগ্রিসমূহ :
রাশিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি এবং ফেরুয়ারি-জুন এই দুই সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারেন। এখানে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়।
ভাষা :
রাশিয়ায় রাশিয়ান ভাষায় পড়াশোনা হয়। তাই পড়াশোনা করতে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে।
যেসব বিষয়ে পড়া যায় : একাউন্টিং, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আর্টস, বায়োলজি, সেন্টার ফর দ্য সোশিওলজি, কেমিস্ট্রি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, কালচারাল এনথ্রোপলজি, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকনোমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, মিজারিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, ইনস্টিটিউট অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ, মিউজিক আর্ট, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, জার্নালিজম এন্ড সোশিওলজি, রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, থিয়েটার প্রভৃতি।
খরচ :
রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে বছরে একজন শিক্ষার্থীর সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৮০০০ মার্কিন ডলার এবং মার্স্টাস ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৪৬০০-৯০০০ মার্কিন ডলার টিউশন ফি দিতে হয়। এখানে থাকার জন্য মাসে ৩৫-১০৪, খাওয়ায় ১৫০-২০০, যাতায়াতে ৫-১০, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্সে ৬-১১ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
কাজের সুযোগ :
ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে এখানে শিক্ষার্র্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। তবে প্রবাসী শিক্ষার্থীরা কেবল গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন। রাশিয়ায় হোটেল বয়, ওয়েটার বা কুকস হেলপারস, ফাস্টফুড স্টল, বেবিসিস্টার প্রভৃতি কাজ করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৩ মার্কিন ডলার আয় করা যায়।
আবেদন করার নিয়ম : যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব ডকুমেন্টসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পন্সরের কাছ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক দায়-দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। কাগজপত্রসহ যথাযথ আবেদন করার পর ভিসা পেতে প্রায় ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগে।
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই
ভর্তি ও ভিসা আবেদন
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠায়। অফার লেটার পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে।ঠিকানা : ১৭৮ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২, ঢাকা। ফোন : ০২-৮৮৫৩৫২১।
শিখে নিন জার্মান ভাষা
জার্মানির অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই জার্মান ভাষায় পড়ানো হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য নূ্যনতম আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.৫০। জার্মান ভাষা শিখে গেলে পড়াশোনা অনেক সহজ হবে। ঢাকার জার্মান কালচারাল সেন্টারে আছে জার্মান ভাষা শেখার সুযোগ। ঠিকানা: বাড়ি-১০, রোড-৯ (নতুন), ধানমণ্ডি, ঢাকা। ফোন : ০২-৯১২৬৫২৫। অনলাইনে তথ্য জানতে পারবেন এই লিংকে www.goethe.de/ins/bd/dha/enindex.htm.
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন
ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত ও চাহিদাসম্পন্ন প্রায় সব বিষয়েই পড়তে পারবেন জার্মানিতে। এখানকার সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, বিভিন্ন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ, এমবিএ, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড ই-কমার্স, এগ্রিকালচার ছাড়াও রয়েছে অনেক বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ।
ভর্তি সুযোগ বছরে দুবার
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যায় বছরে দুবার। গ্রীষ্ম ও শীতকালীন সেশনে। সেশন দুটি শুরু হয় যথাক্রমে এপ্রিল ও অক্টোবরে। সেশন শুরুর অন্তত তিন মাস আগ থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ও আবেদনের যোগ্যতাসহ দরকারি তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখলে পরবর্তী সময়ে বেগ পেতে হবে না।
কেমন খরচ হবে
জার্মানির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না। তবে পাবলিক হেলথ ফি বাধ্যতামূলক হওয়ায় বছরে ৬৫০ ইউরোর মতো খরচ হয়। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বাবদ প্রতি সেমিস্টারে গুনতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো। প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়ে অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন। উল্লেখ্য, এক ইউরো প্রায় ৯০ টাকার সমান।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ
ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বিদেশি শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের নিয়ম থাকলেও গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ফুলটাইম কাজ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। জার্মান ভাষা জানা থাকলে রেস্টুরেন্ট, দোকান বা শপিং মলে কাজ করে ভালো আয় করা যায়।
আছে বৃত্তির সুযোগ
জার্মান সরকার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও বৃত্তি মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেয়। জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের ওয়েবসাইট (www.daad.de) থেকেই জানতে পারবেন বৃত্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানা
www.en.uni-muenchen.dewww3.uni-bonn.de,
portal.mytum.dewww.uni-freiburg.de
www.uni-heidelberg.dewww.uni-goettingen.de
www.study-in-germany.de
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন .
জার্মানিতে পড়াশোনার চার ধাপ
বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
যোগ্যতা, পছন্দ, আর্থিক সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য জানা যাবে।
কাগজপত্র প্রস্তুত ও আবেদন
একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, আইইএলটিএস স্কোর সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি, মেডিক্যাল রিপোর্ট, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র ও পাসপোর্ট আকারের ছবি প্রস্তুত রাখুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদনপত্র পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠাবে।
ভিসা আবেদন
অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে। ভিসা আবেদনের দিকনির্দেশনা ও ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন জার্মান দূতাবাসে অথবা ভিজিট করুন অফিসিয়াল এই সাইটে www.dhaka.diplo.de।
জার্মান পেঁৗছার পর
স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকে তিন মাস। জার্মানিতে পেঁৗছানোর পর প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ ও আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মেয়াদ ফুরানোর আগেই নবায়ন করে নিতে হবে।
রবিবার, ১৬ মে, ২০১০
কিভাবে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশানে ভুগছেন কিনা?

এইডস প্রতিরোধ করবে কলা! :-)

University of Michigan Medical School এর এই গবেষেণার প্রাপ্ত তথ্য মতে কলা থেকে প্রাপ্ত এক প্রকারের লেক্টিন, BanLec হলো সেই উপাদান যা ভাইরাস জীবানু ধ্বংস করে HIV-1 সঙ্ক্রমণ প্রতিরোধ করবে। এই আশ্চর্য উপাদান BanLec একটি সুগার আবদ্ধকারী প্রোটিন, যা বিভিন্ন উদ্ভিদে পাওয়া যায়। গবেষকরা অনেকদিন ধরেই লেক্টিন নিয়ে কাজ করছিলেন কারণ, লেক্টিন ভাইরাসের সুগারের সাথে আবদ্ধ হয়ে তার বিভিন্ন চেইন রিয়েকশন বন্ধ করে। BanLec ভাইরাল এনভেলপের সুগারের সাথে যুক্ত হয়ে HIV ভাইরাসকে আবদ্ধ করে ফেলে। এর মাধ্যমেই তাকে শরীরে অনুপ্রবেশে বাধা প্রদান করে।
প্রধান লেখক মাইকেল ডি সোয়ান্সন বলেন "HIV এর অন্যান্য ওষুধে সমস্যা হল ভাইরাস তার মিউটেশন ঘটিয়ে সেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু লেক্টিনের বিরুদ্ধে এই কাজটি করা সম্ভব নয়। কারন লেক্টিন, HIV ভাইরাল এনভেলপের চতূর্দিকে বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়, যার ফলে তা ভাইরাসের পক্ষে এতগুলো মিউটেশন করা সম্ভব নয়।"
সোয়ান্সন ও তাঁর সহযোগীরা আরো বলেন BanLec কে যদি ভ্যাজাইনাল বা এনাল ভাইরাস ধ্বংসকারী মলম হিসেবে রূপদান করা যায় তবে এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে ব্যবহৃত এন্টি-রেট্রোভাইরাল (anti-HIV) ওষুধ, যেমন T-20 এবং maraviroc প্রস্তুত করতে যে কৃত্রিম উপাদানসমূহের প্রয়োজন তার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে BanLec মলম প্রস্তুতিতে অনেক কম খরচ পড়বে।
একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বর্তমানে HIV এর সংক্রমন প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে HIV প্রতিরোধক যে সকল উপাদান আছে তা এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী নয়। কলা থেকে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত সস্তা, দীর্ঘস্থায়ী এবং নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় এই ধরণের মলম কার্যকরিতা বাড়াবে অনেকগুণ।
রোবট পথপ্রদর্শক

বিশ্বের সবচেয়ে দামী এবং দ্রুততম গাড়ি

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০
ঢাকাকে বদলাতে চাই উন্নত নগর পরিচালনব্যবস্থা
রবিবার, ২ মে, ২০১০
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ১০টি প্রধান বদভ্যাস জনিত কারণ

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ১০টি প্রধান কারণ
১। সকালের নাস্তা সময়মত না খাওয়া যার ফলে রক্তে সুগারের পরিমান হ্রাস পায় এবং ব্রেইন সঠিক পুষ্টি পায় না।
২। অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস, যা আপনার ব্রেইনের এর রক্তনালীকে শক্ত করে তার কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
৩। ধুমপান, কোন সন্দেহ নেই ধুমপান ব্রেইন এর ক্ষমতা হ্রাস করে। এমন কি আলজেইমার রোগেরও কারন।
৪। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর।
৫। বায়ু দূষণ, আমরা প্রশ্বাসের সাথে যে অক্সিজেন গ্রহন করি তার প্রায় ৩৫ ভাগই আমাদের ব্রেইনের কাজে খরচ হয়। সুতরাং দূষিত বায়ুতে আক্সজেনের স্বল্পতার কারনে আমাদের ব্রেইনেও কম অক্সিজেন যাবে। এতে ব্রেইনের দক্ষতা কমে যায়
৬। ঘুমের সমস্যা, ঘুম মানে হচ্ছে ব্রেইনের বিশ্রাম। সুতরাং যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতাও কম হবে।
৭। মাথা ঢেকে ঘুমানো মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। কারন তখন গৃহীত বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান বেশী থাকে।
৮। অসুস্থ অবস্থায় মাথার কাজ করাও ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। অসুস্থ অবস্থায় ব্রেইনে বিশ্রাম দরকার।
৯। বিশ্লেষণধর্মী বা যুক্তি নির্ভর চিন্তা ভাবনা আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যারা এধরনে চিন্তা কম করেন তাদের ব্রেইন তুলনামূলক কম দক্ষ হয়ে থাকে।
১০। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন খুব কম কথা বলা মস্তিকের সঠিক বিকাশের জন্য ভালো নয়।ধন্যবাদ।
Few Definitions. ......

Wonderful Information about Eyes

2>>Eyes are composed of more than two million working parts.
3>>Eyes can process 36,000 bits of information every hour.
4>>Under the right conditions, can discern the light of a candle at a distance of 14 miles.
5>>Eyes contribute towards 85% of your total knowledge.
6>>Eyes utilize 65% of all the pathways to the brain.
7>>Eyes can instantaneously set in motion hundreds of muscles and organs in your body.
8>>In a normal life-span, will bring you almost 24 million images of the world around you.
9>>The external muscles that move the eyes are the strongest muscles in the human body for the job that they have to do. They are 100 times more powerful than they need to be.
10>>The adult eyeball measures about 1 inch (2.5 cm) in diameter. Of its total surface area only one-sixth is exposed -- the front portion.
11>>The eye is the only part of the human body that can function at 100% ability at any moment, day or night, without rest. Your eyelids need rest, the external muscles of your eyes need rest, the lubrication of your eyes requires replenishment, but your eyes themselves "never" need rest. But please rest them!
12>>Eyes are your most precious sense... care for them properly!
0 RULES 4 A GOOD DAY
1. TODAY I WILL NOT STRIKE BACK: If someone is rude, if someone is impatient, if someone is unkind...I will not respond in a like manner.
2. TODAY I WILL ASK GOD TO BLESS MY "ENEMY":If I come across someone who treats me harshly or unfairly, I will quietly ask God to bless that individual. I understand the "enemy"could be a family member, neighbor, co-worker, or a stranger.
3. TODAY I WILL BE CAREFUL ABOUT WHAT I SAY:I will carefully choose and guard my words being certain that I do not spread gossip.
4. TODAY I WILL GO THE EXTRA MILE:I will find ways to help share the burden of another person.
5. TODAY I WILL FORGIVE:I will forgive any hurts or injuries that come my way.
6. TODAY I WILL DO SOMETHING NICE FOR SOMEONE,BUT I WILL NOT DO IT SECRETLY:I will reach out anonymously and bless the life of another.
7. TODAY I WILL TREAT OTHERS THE WAY I WISH TO BETREATED: I will practice the golden rule - "Do unto others as I would havethem do unto me" - with everyone I encounter.
8. TODAY I WILL RAISE THE SPIRITS OF SOMEONE IDISCOURAGED:My smile, my words, my expression of support, can make the difference to someone who is wrestling life.
9. TODAY I WILL NATURE MY BODY:I will eat less; I will eat only healthy foods. I will thank God for mybody.
10. TODAY I WILL GROW SPIRITUALLY:I will spend a little more time in prayer today: I will begin readingsomething spiritual or inspirational today; I will find a quiet place(at some point during the day)!
30 lines to make you smile
2.. I don’t suffer from insanity; I enjoy every minute of it.
3.. I Work Hard Because Millions On Welfare Depend on Me!
4.. Some people are alive only because it’s illegal to kill them.
5.. I used to have a handle on life, but it broke.
6.. Don’t take life too seriously; No one gets out alive.
7.. You’re just jealous because the voices only talk to me.
8.. Beauty is in the eye of the beer holder.
9.. Earth is the insane asylum for the universe.
10.. I’m not a complete idiot –Some parts are missing.
11.. Out of my mind. Back in five minutes.
12. NyQuil, the st uffy, sneezy, why-the-heck- is-the-room -spinning medicine.
13.. God must love stupid people; He made so many.
14.. The gene pool could use a little chlorine.
15.. Consciousness: That annoying time between naps.
16.. Ever stop to think, and forget to start again?
17.. Being “over the hill” is much better than being under it!
18.. Wrinkled Was Not One of the Things I Wanted to Be When I Grew up.
19.. Procrastinate Now!
20.. I Have a Degree in Liberal Arts; Do You Want Fries With That?
21.. A hangover is the wrath of grapes.
22.. A journey of a thousand miles begins with a cash advance
23. Stupidity is not a handicap. Park elsewhere!
24.. They call it PMS be cause Mad Cow Disease was already taken.
25.. He who dies with the most toys is nonetheless dead.
26.. A picture is worth a thousand words, but it uses up three thousand times the memory.
27.. Ham and eggs: A day’s work for a chicken, a lifetime commitment for a pig.
28.. The trouble with life is there’s no background music.
29.. The original point and click interface was a Smith and Wesson.
30.. I smile because I don’t know what the heck is going on.